ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

‘পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য জনমনে বাড়তি আতঙ্ক’

qqqqqqqনিজস্ব প্রতিবেদক :::

ঢাকা: বাম নেতারা বলেছেন, পুলিশ দিয়ে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সুযোগে সরকার বিরোধী মত দমন করতে কাজে লাগাচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে জনমনে বাড়তি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
ধর্মের নামে ধারাবাহিক গুপ্তহত্যা বন্ধ ও জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। বাম মোর্চার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক মানস নন্দীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাইফুল হক, মোশাররফ হোসেন নান্নু, আব্দুস সাত্তার, মোশরেফা মিশু, ফিরোজ আহম্মেদ, ইয়াসিন মিয়া, হামিদুল হক ও মহিনউদ্দিন লিটন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশে  একের পর এক গুপ্তহত্যা হচ্ছে, সরকার ঠেকাতে পারছে না। অথচ,  মহাজোট সরকার দাবি করছে, মানুষ শান্তিতে ঘুমাচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো।
তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে এতোদিন লঘু করে দেখানো হয়েছে। আর সরকারের মনোযোগ ছিল বিরোধী দমনে।
এমনকি ব্লগারদের লেখালেখি সংযত করার কথা বলে ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বাম নেতারা।
বাম নেতাদের দাবি, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘাতকরা শক্তিশালী ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়-দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না। এখনো সরকার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের চিহ্নিত না করে দলীয় স্বার্থে ব্লেম গেইমের আশ্রয় নিচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ গতকাল মাদারিপুরে কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্ত্তীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে চালানো সাঁড়াশি অভিযানে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী জঙ্গিদের ধরতে পারেনি, দাবি করে বাম নেতারা বলেন, সাধারণ জনগণ হামলাকারীদের হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপার্দ করেছে।

পাঠকের মতামত: